Skip to main content

GO BACK Theory


Dr. Rafiqul Islam

+8801832765910

GO BACK মানে হল পিছনে ফিরে যাওয়া; স্থান বা কালের দিক থেকে পিছনের দিকে ফিরে যাওয়া। একজন মানুষের বতর্মান অবস্থা থেকে কালের দিক থেকে পিছনে ফিরে গিয়ে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনে যে জাইগোট বা প্রাণবীজ তৈরী হয়েছিল সেই মূল উৎসে ফিরে যাওয়াই হলো Go Back Theory বা প্রত্যাবর্তন তত্ত্ব। জাইগোট গঠনের পরপরই ব্যক্তির সুস্থতা ‍ও অসুস্থতা নির্ধারণ হয়ে যায়। এ বিষয়ে মাহমতি কেন্ট বলেছেন “তাহার জন্মকালে যে রোগ ছিল, এখনও(পরিণত বয়সে) তাহার সেই রোগই আছে” গর্ভকালীন অবস্থা বা ছোটকালের মৌলিক চরিত্রে ফিরে গিয়ে তার উপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচন করাই হলো Go Back Theory বা প্রত্যাবর্তন তত্ত্ব বা পিছনে ফেরা তত্ত্ব।

প্রখ্যাত হোমিও গবেষক ডাঃ শ্যামল কুমার দাস এ পদ্ধতির নাম দিয়েছেন Fruit-Tree-Earth Syndrome অর্থ্যাৎ ফল-গাছ-মাটি উপকথা। Fruit হলো রোগী যে ডাক্তারের সামনে বসে আছে, Tree হলো রোগীর বাবা-মা, Earth হলো তাদের বাবা-মা, তাদের বাবা-মা, তাদের বাবা-মা-----।

তিনি  প্রথমে এ পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন Go Back Theory বা প্রত্যাবর্তন তত্ত্ব বা পিছনে ফেরা তত্ত্ব । পরবর্তীতে তিনি আরো গষেষনা করে এ পদ্ধতির নাম চূড়ান্ত করেন Go Back Procedure of Real Homeopathic Therapeutics System অর্থ্যাৎ পিছনে ফেরা প্রক্রিয়ায় প্রকৃত হোমিও আরোগ্যকলা।

ডাঃ শ্যামল কুমার দাস লক্ষ্য করলেন মহাত্মা হ্যানিম্যান এবং মহামতি কেন্ট যদিও SICK Individual এর চিকিৎসার কথা বলেছেন কিন্তু সমস্ত পৃথিবীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে চিকিৎসা বর্তমান রয়েছে তা শুধুমাত্র রোগভিত্তিক চিকিৎসা। যদিও বলা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি রোগ নয় রোগীর চিকিৎসা করে। বাস্তবে তার কোন প্রমাণ মেলেনি। রেপার্টরী ও রুব্রিক বেইজ্ড যত চিকিৎসা তার সবই তো রোগভিত্তিক চিকিৎসা। বাজারে যত মেটেরিয়া মেডিকা রয়েছে তার সবই তো রোগভিত্তিক লক্ষণের উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রাপ্ত লক্ষণ সমষ্টি যেমন-রোগের কারণ, রোগের অবস্থান, অনুভূতি, হ্রাস-বৃদ্ধি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সহগামী লক্ষণ ইত্যাদি সবই তো রোগের চিকিৎসা। সেখানে রোগী কোথায় আর SICK Individual ই বা কোথায়? মহাত্মা হ্যানিম্যান তার অর্গানন গ্রন্থে যদিও VITAL FORCE or VITAL PRINCIPLE কেই রোগের কেন্দ্রভূমি বলে উল্লেখ করেছেন। তাহলে VITAL FORCE or VITAL PRINCIPLE কে সামনে রেখেই চিকিৎসা করা উচিত নয় কি? SIMILIMUM Medicine প্রয়োগ করে একমাত্র VITAL FORCE or VITAL PRINCIPLE কে সহায়তা করে রোগীকে সুস্থ্য করা সম্ভব। এছাড়া অন্য কোন পন্থা নেই যা কোন মানুষকে সুস্থ্য করে তুলতে পারে। সঠিক চিকিৎসা প্রকৃতপক্ষে যাকে আরোগ্য করে সেটি VITAL FORCE ছাড়া অন্য কিছু নয়। 

অর্গাননের এক নম্বর এপোরিজমে মহাত্মা হ্যানিম্যান বলেছেন, “The Physician’s high and only mission is to restore the sick to health, to cure, as it is termed”. অর্থ্যাৎ রোগীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করা, যাহাকে রোগ নিরাময় বা আরোগ্য করা বলা হয়, তাহাই চিকিৎসকের মহান ও একমাত্র ব্রত।

SICK হলো অসুস্থ্য মানুষ আর রোগী বা Patient হলো যে মানুষটি চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে এসেছে। সকল SICK রোগী নয় কিন্তু সকল রোগীই SICK. বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়- মানুষ জন্মগতভাবে মায়াজম বা রোগবিষ নিয়ে জন্মা্য় যেমন-সোরিক মায়াজম, সিফিলিটিক মায়াজম এবং সাইকোটিক মায়াজম এবং পরবর্তীতে জেমস টাইলার কেন্ট আরো একটি ডায়াথেসিস উল্লেখ করেছেন সেটি হলো-টিউবারকুলার যাহা সোরিক ও সিফিলিটিক মায়াজমের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়।শ্যামল স্যার আরো দুটি Adverse factor আবিষ্কার করেন: ১. Post Trauma Syndrome-PTS, 2. Post Rabies Syndrome-PRS. এই মায়াজম, Diathesis, এবং Adverse factor হলো সত্যিকারের ছয়টি True Disease. বাকী সব হলো Result of the Diseases. তিনি True Disease এর চিকিৎসা করেন এবং সকলকে করতে বলেন। তিনি তার গবেষনায় দেখেছেন True Disease এর চিকিৎসা করলে Result of the Diseases এমনিতেই ভাল হয়ে যায়।

মাতৃগর্ভে জাইগোট গঠনের সময় থেকেই  ছয়টি True disease সাথে নিয়েই এককোষী জাইগোট থেকে বহুকোষী মানবদেহ জন্ম নেয়। জাইগোট গঠনের সময় থেকেই আমরা মাতৃগর্ভে VITAL FORCE এবং Disease Force নিয়েই বড় হতে থাকি এবং পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করি। তাই বলতে পারি মানুষ এবং SICK শব্দ দুটি সমার্থক। বিষয়টি একটু গোলমেলে মনে হচ্ছে। তাহলে আমরা সুস্থ্য থাকি কেমন করে। যতদিন আমাদের VITAL FORCE শক্তিশালী থাকে ততদিন রোগশক্তি আমাদের কিছুই করতে পারে না। VITAL FORCE বা জীবনী শক্তি যখন প্রতিকুল অবস্থার সম্মুখীন হয় তখনই রোগশক্তি জেগে উঠে। বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত রোগসমূহ পরিবেশের প্রভাবে মানবদেহে প্রকাশ পেতে থাকে।

রোগী বলতে রোগগ্রস্ত কাউকে বুঝায়। মানুষেরই রোগ হয় এবং তাহারই স্বাস্থ্য পূনঃসংস্থাপিত করিতে হয়। তাহার দেহের ও নহে এবং তন্তুরও নহে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা ডাক্তার সাহেবরা এবং রোগীরা সবাই আমরা ব্যাধি বা রোগের পরিণামফলই রোগ বলে মনে করি এবং তার উপরই চিকিৎসা করে থাকি। তাতেই বাধে যত বিপত্তি। এক্ষেত্রে মহামতি কেন্টের একটি উক্তি উল্লেখ না করলেই নয়। তিনি বলেছেন-“Prescribing for the result of disease causes changes in the results of disease, but not in the sickness except to hurry its progress’’. 

সোরা:

অর্থ্যাৎ মানুষের ইচ্ছার অভিব্যক্তি বা উদ্বর্তন-ই সোরা যার পরিণতি নিন্দনীয় ক্রিয়াকলাপে।

দুষ্টু ইচ্ছা বা দুষ্টু মন নিয়ে জীবন যাপন একটি মানুষের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে তাকে সোরা বলে।

ভাবনা-চিন্তা, ইচ্ছা এবং কাজ মানব জীবনের এই তিনটি বিষয় মানুষকে ক্রনিক মায়াজম এর পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।

সোরা প্রকট হওয়ার পিছনে কারণসমূহঃ

১. বংশ পরম্পরাক্রমে অপচিকিৎসা;

২. ব্যক্তি বিশেষে অপচিকিৎসা;

৩. চাহিদা এবং যোগানের ভারসাম্যহীনতার কারণে সৃষ্ট সংকট 

মহামতি কেন্ট তার দার্শনিক বক্তৃতায় বলেছেন, “That patient has the same disease he had when he was born. This array of symptoms represents the same state before the pathological conditions have been formed as after. And it is true, if he has liver disease or brain disease or any of many tissue changes that they call disease, you must go back and procure these very symptoms before you can make a prescription. Prescribing for the results of disease causes changes in the results of disease, but not in the sickness except to hurry its progress.”

সহজ সরল বাংলা ভাবার্থ হল যে, ঐ রোগীর এখন যে রোগটি রয়েছে (ধরা পড়েছে) সেটি তখন ও ছিল যখন তিনি জন্মেছিলেন। অর্থ্যাৎ যখন তিনি জন্মেছিলেন তখণ যে রোগটি ছিল আজ ঐ রোগীর একই রোগ রয়েছে। রোগগ্রস্ত হওয়ার পর এখনকার লক্ষণবিন্যাস, রোগগ্রস্ত হবার আগেও একই রকম ছিল। একথার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে যদি ঐ মানুষটির যকৃতের বা মস্তিষ্কের অথবা অন্য কোন কোষ কলার কোন সমস্যা হয়ে থাকে।(সেগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন রোগ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে) আপনাকে অবশ্যই পিছনে গিয়ে (Past history বা অতীত ইতিহাস এবং পূর্বপূরুষের ইতিহাস) অর্থ্যাৎ এই সমস্যা ধরা পড়ার আগের লক্ষণগুলো সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমান সমস্যা বা রোগের পরিণামফলের ভিত্তিতে ঐষধের ব্যবস্থা করলে, সমস্যাগুলোর বা রোগের পরিণামফলের পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঔষধগুলো ভিতরে ভিতরে মূল রোগটির (Chronic Disease) অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে।

তিনি আরো বলেছেন, “The sick man will be made sick under every circumstance, whereas the healthy man could live in a lazaretto”

অসুস্থ্য মানুষ প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই(সুস্থ্যতা পূর্ণ পরিবেশে থাকলেও) অসুস্থ্য হয়ে পড়বে, পক্ষান্তরে সুস্থ্য মানুষ জঘন্য সংক্রামক রোগের হাসপাতালে বসবাস করলেও অসুস্থ্য হবে না।

কেন্ট আরো বলেছেন, “যে লক্ষণ তুমি রোগীর মধ্যে দেখছো সেই লক্ষণের পিছনে যে কারণ লুকিয়ে আছে (Miasmatic and non-miasmatic, inherited and acquired) তাকে খুঁজে বের করতে অবশ্যই পিছনে, আরো আরো পিছনে যাও (you must go back), তারপর Prescription করো তাহলেই ঐ রোগী (Patient) এবং রোগীতে পরিণত হওয়ার পূর্বে ঐ মানুষটিকে (Sick individual) একজন সুস্বাস্থ্যবান এবং বিবেকবান নাগরিকে (Healthy Individual) পরিণত করতে পারবে। অন্যথায় রোগীর লক্ষণের উপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচন করলে কষ্টকর লক্ষণগুলি উপরে উপরে চলে যাবে কিন্তু ঐ লক্ষণগুলির জন্য দায়ী Factor(Miasmatic, non-miasmatic, Inherited and Acquired) মানুষটিকে দ্রুত আরো খারাপ অবস্থায় পৌছে দেবে”

কেন্ট বলেছেন, “আমরা দেহের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত হই না, শুধুমাত্র জীবনীশক্ত দুর্বল হলেই আমাদের দেহ রোগাক্রান্ত হয়।”

অন্যত্র কেন্ট বলেছেন- “আরোগ্য হলো রোগগ্রস্ত বা অসুস্থ জীবনীশক্তিকে পরিবর্তন করে পূর্বের স্বাভাবিক (স্বাস্থ্যে) অবস্থায় ফিরিয়ে আনা”

তিনি আরো বলেছেন, “সকল Miasm(চির রোগবিষ)ই হলো প্রকৃত ব্যাধি। দেহযন্ত্রের সকল প্রকৃত রোগসমূহ কেন্দ্র থেকে পরিধিতে প্রবাহিত হয়।” তাহলে আমরা কিসের ডাক্তার? আমরা (Vital Force) জীবনী শক্তিকে ঠিক করার ডাক্তার। আমরা কোন রোগ সারাবার ডাক্তার নই। জীবনীশক্তিকে ঠিক করতে পারলে রোগ আপনিতেই চলে যাবে। এটাই শ্যামল কুমার দাস উদঘাটন করেছেন। এটাই শ্যামল কুমার দাসের বিশেষত্ব। তত্ত্বটি যদিও শ্যামল স্যারের নয়। কথাগুলো অনেক আগেই বলেছিলেন মহামতি কেন্ট কিন্তু পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এর কোন ব্যবহারিক প্রয়োগ ছিল না। মহামতি কেন্ট মহাত্মা হ্যানিম্যানের লেসার রাইটিং, অর্গানন, ক্রনিক ডিজিজ ইত্যাদি গ্রস্থগুলোকে সহজ সরল ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন। যা বোধগম্য করতে পেরেছেন ডাঃ শ্যামল স্যার।

এর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরে ডাঃ শ্যামল কুমার দাস তাইতো পিছনে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। তাই তিনি এ পদ্ধতির নাম দিয়েছেন Go Back Procedure of Real Homeopathic Therapeutic System.

সারা বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ৭৭০০ টি ঔষধ থেকে ডাঃ শ্যামল কুমার দাস মাত্র ১০টি গভীর ক্রিয়াশীল ঔষধকে বেছে নিয়েছেন। তিনি নিজে এবং তার অনুসারীরা তার দেখানো পথে চিকিৎসা করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন। আমি বিগত ৬-৭ মাস যাবৎ এ মতপথের অনুসারী হিসেবে চিকিৎসা করে প্রচুর সফলতা পেয়েছি যা আমাকে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এখনো যে ভুল হচ্ছে না তা নয়। তবে ভুল যা হচ্ছে সেটা আমার নিজস্ব ভুল, এ পদ্ধতির কোন ভুল নয়। পরে যদিও বুঝতে পারি, সুযোগ পেলেই সংশোধন করে ফেলি। তাইতো আমি এ পথের একজন অনুসারী হিসেবে তার দেখানো পথকে প্রচারের লক্ষে এবং হোমিওপ্যাথিকে এগিয়ে নিতে আমি ডাঃ শ্যামল কুমার দাসের মত-পথকে আপনাদের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করছি।

গবেষণার একপর্যায়ে যে দশটি মেডিসিন নিয়ে কাজ করেছিলেন, সেগুলো হলো- ১. কার্ভো ভেজ, ২. কাভো এনিমেলিস,৩. সোরিনাম, ৪, টিউবারকুলিনাম বভিনাম, ৫, ব্যাসিলিনাম, ৬. ড্রসেরা, ৭. হাইড্রোফোবিনাম, ৮. সিফিলিনাম, ৯. মেডোরিনাম, ১০. থুজা।

সর্বশেষ গবেষনায় তিনি টিউবারকুলিনাম বভিনাম ও ব্যাসিলিনাম ঔষধ দুটি প্রয়োজন হয় না মনে করেন। তিনি দেখেছেন ড্রসেরা একাই টিউবারকুলিনাম বভিনাম, ব্যাসিলিনাম এর কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম।

সমগ্র পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে হোমিও কেস টেকিং করা হয় তা থেকে ডাঃ শ্যামল স্যারের কেস টেকিং পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। Go Back procedure of Real Homeopathic Therapeutic System মূলতঃ দুটি প্রধান বিষয় নিয়ে গঠিত হয়েছে-

১. ABC Procedure of Special Case taking.

২. Construction of Six Cycle 

১. ABC Procedure of Special Case taking.

A.  Primary Information about the FRUIT Individual

i.   Present Complaint

ii.   History of Present Complaint

iii.  Past history

iv. Consciousness

B.  Family (TREE and EARTH)History of the individual

C.  Philosophy of early Life (FRUIT)

২. Construction of Six Cycle:

ফল-গাছ-মাটি থেকে পাওয়া তথ্য কোন্ কো্ন্ True Disease আজকের এই মানুষটির মধ্যে বর্তমান Result of the Disease এর জন্য দায়ী এবং ছয়টি True Disease এর মধ্যে কোনটির প্রভাব তীব্রতম, কোনটির প্রভাব তীব্রতর, কোনটির প্রভাব তীব্র সেই গাণিতিক বিষয়টিকে নির্ভুলভাবে অনুধাবন করতে ছয়টি True Disease কে ছয়টি চক্রে সাজানো হয়। প্রথম দিন যে চক্র সাজানো হয় সে অনুযায়ী রোগীর জন্য নির্ধারিত ঔষধ চলতে থাকবে। এই ছয়টি চক্র সাজাতে যথেষ্ট শ্রম, ধৈর্য্য, অভিজ্ঞতা সর্বোপরি ডাক্তার সাহেবের Six Sense কাজে লাগাতে হবে। 

Vital Force:

·         সমগ্র শরীর যন্ত্রে অবস্থান করে, বস্তুগত দেহকে বাঁচিয়ে রাখে এবং পরিচালিত করে।

·         যেহেতু শুধুমাত্র Vital Force থেকেই জীবনের সর্বপ্রকার অনুভূতি এবং কার্যকলাপের উৎপত্তি হয়, সুতরাং Vital Force ই অনুভূতি এবং কার্যকারিতায় দেহ যন্ত্রের যাবতীয় অংশকে সুন্দররূপে ও সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রিত করে।

·         তখন অনুসন্ধিৎসু, যুক্তিবাদী মন (মানুষ) এই জীবন্ত সুস্থ শরীর যন্ত্রকে মানব জীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত করতে সমর্থ হয়।

·         Vital Force Spiritual (সূক্ষ্ম অর্থ্যাৎ দেখা যায় না), Autocratic (এটি স্বয়ংক্রিয়), Dynamic (এটি শক্তিশালী।

Health:

Vital Force অনুভূতি এবং কার্যকারিতায় দেহ যন্ত্রের যাবতীয় অংশকে সুন্দররূপে ও সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রিত করলে অনুসন্ধিৎসু, যুক্তিবাদী মন (মানুষ) এই জীবন্ত সুস্থ শরীর যন্ত্রকে মানব জীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত করতে সমর্থ হয়। তখন এই Vital Force কে Healthy Vital Force বলা হয়। Vital Force যার Healthy তিনি Healthy Individual. Harmoniousness is the only Identity of Health অর্থ্যাৎ সুশৃঙ্খলতা সুস্বাস্থ্যের একমাত্র পরিচায়ক।

এই Vital Force কোন জীবন বিরোধী রোগজনক রূপান্তর সাধক পদার্থের গতিশীল প্রভাবে প্রাথমিকভাবে (মৌলিকভাবে) বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত হলে একটি মানুষ অসুস্থ্য বোধ করে।

Sickness:

Healthy Vital Force কর্তৃক সুনিয়ন্ত্রিত সুন্দর অনুভূতি এবং কার্যকারিতা বিশেষ কোন কারণে প্রাথমিকভাবে বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত (Primarily Deranged) হলে সেই অবস্থাকে অসুস্থতা বা Sickness বলা হয়। অর্থ্যাৎ Vital Force প্রাথমিকভাবে বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত পরিস্থিতির অপর নাম অসুস্থতা।

Sick State:

Sick State হলো বিভিন্ন কু-চিন্তা, নিজের বা অন্যের অমঙ্গল চিন্তা

Sick State হলো Disease State এর প্রারম্ভিক দশা, যার কারণ পর্যালোচনা করে এবং সামগ্রিক ভাবে মানুষটির জীবনযাত্রা অনুসন্ধান করে যদি ঔষধ নির্বাচন করা হয় তাহলে Disease Force এর বাড় বাড়ন্ত রোখা যায়, তখন Vital Force এর বদান্যতায় মানুষটি Scik State ‍থেকে Disease State এ না গিয়ে Healthy State এর দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

অথচ চিকিৎসার ব্যাপারে Sick State এর কোন গুরুত্ব পৃথিবীর কোন চিকিৎসা শাস্ত্রে দেয়া হয়নি এবং এর গুরুত্ব দেয়া উচিৎ, সে বিষয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এর উপর তেমন কোন বিশেষ আলোকপাত করা হয়নি।ফলে সাধারন মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে কোন চেতনাবোধ গড়ে উঠেনি। যার দরূন সকলে যে লক্ষণগুলিকে (ছোটবেলার আচার আচরন, মনোভাব, কান্না, রাগ ইত্যাদি) অতি স্বাভাবিক বলে কোন গুরুত্বই দেন না, কিন্তু সেই লক্ষণগুলি আগামী দিনগুলোতে আসন্ন ভয়ংকর রোগের পূর্বাভাস হতে পারে।

Disease:

এই Vital Force অস্বাভাবিকভাবে বিকৃত হলে (deranged to such an abnormal state) শরীর যন্ত্রে কষ্টকর অনুভূতিসমূহের সৃষ্টি হয় এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম দেয় একে রোগ (disease) বলা হয়। এই রোগগ্রস্ত Vital Force কে Diseased Vital Force বলা হয় এবং রোগগ্রস্ত মানুষটিকে Diseased Individual বলা হয়। এই অবস্থায় Dynamic Pathology উন্নীত হয় Organic Pathology তথা Reversible Organic Pathology তে এবং এই অবস্থায় Similimum ছাড়া অন্য কোন ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করলে reversible organic pathology আরও আরও খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় অর্থ্যাৎ irreversible organic pathology তে পরিণত হয়।

অন্যদিকে Genetic Code এ পূর্ব নির্ধারিত Programming অনুযায়ী Sickness বা Sick Individual এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে। এই “বৈশিষ্টের প্রকাশ” যেমন “ফল-গাছ-মাটি” এর উপর নির্ভরশীল আবার “স্থান-কাল-পাত্র” এর গুরুত্বও যথেষ্ট। তাই স্যার এর নাম দিয়েছেন Fruit-Tree-Earth Syndrome.

 

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

এটা কি হোমিওপ্যাথি ?

ডাঃ শ্যামল কুমার দাস +917407490809 প্রশ্নঃ #    পৃথিবীতে এতদিন যে হোমিওপ্যাথি চলছিল সেটা কি হোমিওপ্যাথি নয়, না সেটা সব ভূল ? #   আমরা কি এতদিন ধরে হোমিওপ্যাথি করছি না ? #   আমরা কি রোগ সারাচ্ছি না ? #    এসব না জানলে কি হোমিওপ্যাথি করা যায় না ? #    হোমিওপ্যাথির বিকৃতরুপ আরও কত শুনতে হবে, দেখতে হবে ? #   এই বিকৃত হোমিওপ্যাথির জন্য Classical Homoeopathy কি হারিয়ে যাবে ? #    না না এসব মেনে নেওয়া যায় না, মেনে নেওয়া উচিৎ কি ? #   যেখানে Patient এর কষ্টের কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, এর কোন লক্ষণের (যেমন- Modalities, Hot-chilly reaction, Desire-aversion, Right-left sided problem etc. ) গুরুত্ব দেওযা হচ্ছে না। Patient এর কষ্ট জনিত কোন মানসিক লক্ষণের গরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ( PPP )। Organon এর কোন গুরুত্ব [ যেমন- §৪, §৫ exciting cause, maintaining Cause Past history, family history, personal history, Fundamental causes (Psora, Syphilis এবং Sycosis ), Different Diathesis (Tuberculer, Scrofulous, Cancerous etc. ) ] দেওয়া হচ্ছে না। #    সত্য সত্যই এটা হোমিওপ্যাথি তো ? ? ? উত্তরঃ একটা বিষয়ে

NEGATIVE THINKING Vs POSITIVE THINKING

Dr. Shyamal kumar das “Let’s hope for the best.” Nobody can hope for the best if an individual is having predominant one or more true disease(s) i.e., origin or source of hopelessness or negative thinking or consciousness is predominant true disease(s). Again, these true diseases are inherited from our ancestors through genes which may present in an individual as recessive state or predominant state. The genes are responsible for the production of different harmful or useful things. Harmful products are created where there is true diseases are predominant in an individual is responsible for destruction of mental and physical peace creating consciousness . For example, “I think I will die by road accident, nobody will help me”, “The world will destroy very soon, I think so”, "I will not survive more than one month", etc. If the individual is relatively healthy i.e., sick or not perfectly healthy becomes seriously ill instantly with the least adverse situation mean

Philosophical view of Materia Medica